ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

 ফ্যাটি লিভার এর সমস্যা আমাদের বাংলাদেশে একটি বিরাট সমস্যা। পেটে অতিরিক্ত চর্বি সমস্যায় অনেকে পড়েন। এই সমস্যাটি হল ফ্যাটি লিভার। পেটের ভূড়ি বাড়ার সাথে সাথে ফ্যাটি লিভার হওয়ার প্রবনতা বৃদ্বি পায়।  শরীরের পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে লিভারকে। আমরা যখন কোন খাবার খাই তার সাথে অনেক দূষিত ক্যামিক্যাল এবং জীবানু প্রবেশ করে। লিভার এগুলো শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। এই সব রোগ জীবানু লিভার ধংস করে, আর এর মাধ্যমেই পেট সুস্থ্য থাকে।

ফ্যাটি লিভার


ফ্যাটি লিভার কি

যদি কোন রোগীর ফ্যাটি লিভার হয় তাহলে সেই রোগের লিভারে ৩-৪ পাউন্ড চর্বি থাকে। এই চর্বির এর পরিমান বাড়তে বাড়তে ১০ পার্সেন্ট এর বেশি হয়ে গেলে সাধারনট ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

ফ্যাটি লিভার কেন হয়

স্থূলতা থেকে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হল এই লিভারে চর্বি জমা। আর ফ্যাটি লিভার একটি কমন রোগ, লিভারে ফ্যাট জমার মাধ্যমেই ফ্যাটি লিভার তৈরি হয়। শরীর থেকে দূষিত জীবানু বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

লিভার শরীর এর জন্য প্রোটিন তৈরি করে,  হজমের জন্য পিত্ত সরবরাহ করে তাই শরীর সুস্থ রাখতে হলে লিভার সুস্থ রাখা জরুরি।


যেসব লক্ষণে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার



তো আমরা জেনে নিই ফ্যাটি লিভার হলে কি সমস্যা হয় । ফ্যাটি লিভারে সমস্যা হলে স্বাভাবিক কাজ করতে গেলে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন,  খাবারের প্রতি অনিহা চলে আসবে এবং খাবারের রুচি থাকবে না।  বমি বমি ভাব আসবে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে এবং আপনার ওজন কমে আসবে, স্বাচ্ছন্দে আর কাজ করতে পারবেন না।

ফ্যাটি লিভার হলে আরও কিছু সমস্যা দিতে পারে যেমন, আপনার বদ হজম হবে, পেটে গ্যাস জমবে , মন খারাপ এবং ডিপ্রেশনে বেশি করে আক্রান্ত হবেন। এই অবস্থা কিছুদিন পর আরও গুরুতর হবে।


ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় হল আপনি সব সময় পরিশ্রম করবেন। চেষ্টা করবেন যে পরিমান খাচ্ছেন সেই পরিমান এর এনার্জি পরিশ্রম এর মাধ্যমে ব্যয় করতে। তাহলে পেটে চর্বি জমার চ্যান্স থাকবে না।

ফ্যাটি লিভার হল একটি নীরব ঘাতক রোগ। এর কারণ হল প্রথম দিকে আক্রান্ত হলেও রোগী বুঝতে পারে না যে এটা তার শরীরে বাধা বেধেছে। চর্বি এর পরিমান বাড়তে বাড়তে লিভারের ওজনের ১০ পার্সেন্ট এর বেশি হয়ে গেলেই ফ্যাটি লিভারে রুপান্ত্রিত হয়। ফ্যাটি লিভার এর মাধ্যমে লিভার ইনফেকশন থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিস এর মত বড় ধরণের রোগ হয়ে যেতে পারে। তাই সহজ বুদ্দ্বি আপনি নিয়মিত পরিশ্রম করুন। 

আবার আপনি নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম এর পাশাপাশি ব্যায়াম করতে পারেন নিয়মিত। এত আপনার শরীররের কোলেস্টরল এর মাত্রা এবং ডায়াবেটিস কমে যাবে, যার ফলে আপনার ফ্যাটি লিভারটিও সুস্থ হয়ে যাওয়ার সুবিধা পাবেন।

একটা কথা মাথায় রাখবেন বাজারের মেডিসিন খাওয়া হলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন কিন্তু এর ফলে আপনি অন্য কোন সাইড আফেক্ট অথবা আবার আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার চ্যান্স থাকে। তাই নিজেকে কন্ট্রোল করুন। নিয়মিত সুষম খাবার খান। 

নিয়মিত শসা খেতে পারেন। শসা এর মাধ্যমে আপনার পেটের চর্বি দূর হবে। আবার আপনি পেপে খেতে পারেন। পেপে লিভার এর জন্য খুবই উপকারী।  পেঁপেতে থাকা ড্যানডেলিওন, মিল্ক থিসল লিভার এর সুস্থতা প্রদান করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post