গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর উপায়

এই আর্টিকেলটি এর মাধ্যমে আমরা গ্যাস্ট্রিক রোগীদের গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ এবং গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা দূর করার উপায় তুলে ধরবো। গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা কমানোর জন্য কি খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো একদম শেষে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় 

বাংলাদেশে ম্যাক্সিমাম মানুষ গ্যাস্ট্রিক রোগে ভুগে। গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কিন্তু শরীর এর অনেক জায়গায় হতে পারে। তো গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হতে পারে ?

কিছু গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ নতুন রোগিদের বেশি, যেমন পেটের উপরের দিকে সারাদিন ব্যাথা থাকে।চিকিৎসকরা গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথাকে দুইটা শ্রেনিতে ভাগ করেছেন,

একটি ব্যাথার ধরণ হল দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা এই ধরনের গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথার রোগীদের বলা হয় ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিস  এবং আরেকটি ধরণের গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা হল অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস ব্যাথা। গ্যাস্ট্রিক এর মূল কারণ হল পেটে অধিক পরিমান এসিডের পরিমান বৃদ্বি পায়। 

বেশিরভাগ গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা পেটের উপরিভাগেই হয়ে থাকে। এই গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা এমনকি বুকের মাঝখানেও হতে পারে। যদি গ্যাস্ট্রিক রোগীর আলসার হয়ে যায় তাহলে কোন কিছু খেলে গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা বেড়ে যায়।  তবে ডিওডেনাল আলসারের ক্ষেত্রে পেট যদি রোগীর খালি থাকে, পেটে যদি খাবার ফুরিয়ে যায় তাহলে ব্যাথা বৃদ্বি পায়।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর উপায়

অনেকে আছি যারা নিয়মিত ফার্মেসি এর ওষুধ সেবন করতাছি, কিন্তু আমাদের রোগ থেকে আরোগ্য হয় না। গ্যাস্ট্রিক পেটের এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু ফার্মেসী এর ওষুধ সেবন করেই ঠিক করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন সঠিক লাইফস্টাইল।

আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার কোন খাবারে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হয়। মানুষভেদে গ্যাস্ট্রিক ভিন্ন ভিন্ন খাবারে হয়ে থাকে। যদি উদাহরণ হিসেবে দেখি, আমরা যে খাবার ডাল খাই এই ডালে কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রিক হয় আবার কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রিক হয় না। যে সকল খাবারে আপনার গ্যাস্ট্রিক এর পরিমান বৃদ্বি পায় সে সকল খাবার আপনি বয়কট করবেন।

এবং যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগেন তারা তৈলাক্ত খাবার এবং ভাজা-পুড়া খাবার খাবেন না। এসকল খাবার প্রতিনিয়ত খেতে থাকলে গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার এবং আলসার থেকে ক্যানসার হতে কিন্তু বেশি সময় লাগবে না।

এরপর আপনাকে সময় মত খাবার খেতে হবে। একটা টাইম করবেন, সেই টাইম অনুযায়ী খাবার খাবেন। আপনি কি জানেন দুশ্চিন্তার কারণে গ্যাসের সমস্যা ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।  তাই দুশ্চিন্তা করলে গ্যাস বাড়বে। যারা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগতাছেন, তারা দুশ্চিন্তা কম করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।

শাক-সবজি বেশি করে খেতে হবে। তবে আপনার যদি কোন শাক বা সবজি খেলে বদ হজম হয় তাহলে সেই শাক বা সবজি এড়িয়ে চলায় ভালো। এটা বলার কারণ হল অনেক গ্যাস্ট্রিক রোগী আছে শাক খেয়ে হজম করে সমস্যা হয়। তাই আপনার যদি এইগুলো খেলে হজমে সমস্যা না হয়, তাহলে খাবারের চেষ্টা করুন।

সকালে খালিপেটে দুই গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস আপনার পেটকে পরিস্কার রাখতে সাহায্য করবে। এবং হজম শক্তিও বৃদ্বি করবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post