কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট এর লিস্ট আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরবো। যদি আপনার ওয়েবসাইট থিকে ইনকাম অথবা ইউটিউব থিকে আয় করার চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে আপনারা কপিরাইট ফ্রি ইমেইজ ডাউনলোড এবং কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন।
এখানে দুই ধরণের কপিরাইট ফ্রি মিউজিক পাবেন, কিছু মিউজিক আছে কপিরাইট ক্রেডিট দেওয়া লাগে আর কিছু মিউজিক আছে আপনি ক্রেডিট ছাড়ায় ব্যবহার করতে পারবেন।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের টপিক যেহেতু copyright free music download নিয়ে তাই আমরা স্পেসিফিক ভাবে কিভাবে royalty free music download করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনারা সকলেই জানেন যদি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও বা মিউজিক কন্টেন্ট তৈরি করতে যান, অথবা এই কন্টেন্ট ব্যবহার করে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই copyright free music download করে ব্যবহার করবেন। যদি কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার না করেন তাহলে আপনি কপিরাইট স্ট্রাইক খেয়ে যেতে পারেন।
কপিরাইট ফ্রি মিউজিক কি | ( what is copyright free music )
একটা মিউজিক তো কেউ না কেউ তৈরি করেছে সেটা আমরা সকলেই জানি । যে মিউজিক টা তৈরি করেছে টাকা-পয়সা খরচ করে নিশ্চয় সেই এই মিউজিক এর মালিক। এখন আপনি যদি অনলাইন থিকে এই মিউজিক টা ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন আপনার ভিডিও বা যেকোনো কন্টেন্টে এবং সেই ভিডিও দ্বারা ইনকাম করেন তাহলে এটা কপিরাইট আইনের মধ্যে পড়েন। এই ক্ষেত্রে আপনার বড় ধরণের শাস্তি হতে পারে, আপনি জেলও খাটতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা হল আপনার ইউটিউব চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট চিরতরে ব্যান হয়ে যেতে পারে।
এমন হলে আপনার নাম ব্যবহার করে আর গুগল এডসেন্স দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে আশার কথা হল কিছু ওয়েবসাইট কপিরাইট ফ্রি মানে তাদের মিউজিক ব্যবহার করলে আর কপিরাইটের সমস্যা থাকছে না, তেমনি কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করবো।
কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট গুলোর লিস্ট | ( copyright free music download website list )
- Copyright Studio ( Audio Library )
- Soundcloud.com
- wave.video
- hooksounds.com
- Facebook Sound Collection
- purple-planet.com
- artlist.io
- bensound
- joshwoodward.com
- free-stock-music.com
চলুন বিস্তারিত জানি কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে,
আরও পড়ুনঃ সেরা ১০টি কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ওয়েবসাইট
1. Copyright Studio ( Audio Library )
https://studio.youtube.com/ এই লিংকে প্রবেশ করে নিচের দিকে পাবেন audio library সেখান থিকেই আপনারা ইউটিউব এর জন্য কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।
উপরের স্ক্রিনশটে দেখতে পারছেন প্রত্যেক মিউজিকে এমন ইউটিউব লোগো থাকে, সেই লোগো এর কাছে মাউস নিলেই আপনি দেখতে পারবেন আসলে এই মিউজিকে আপনার ক্রেডিট দিতে হবে কিনা। তবে আশার কথা হল খুব কম সংখ্যক মিউজিকেই আছি কপিরাইট ক্রেডিট দিতে হয়।
তবে এই মিউজিকের কিছু টার্ম এন্ড কন্ডিশন আছে যেমন আপনি চাইলেই এই মিউজিক রিইউজ করে সেল করতে পারবেন না। মানে এখান থিকে ডাউনলোড করে আলাদা ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার রিসেল এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না এটা অবৈধ্য।
আবার এই কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার করে কোন অবৈধ্য কন্টেন্ট তৈরি করার পারমিশন তারা দেয় না। অবৈধ্য ভিডিও তো বুঝেন লাইক সন্ত্রাস,সেক্সুয়াল ইত্যাদি।
2. Soundcloud.com
সাউন্ডক্লাউড একটা অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট । এখান থিকে বাংলা, ইংলিশ বা হিন্দি গান স্ট্রিম করে শুনা যায়।
এখান থিকে গান শুনার পাশাপাশি আপনারা এদের সিলেক্ট করা মিউজিক আছে যা কপিরাইট ফ্রি মিউজিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার এই ওয়েবসাইট থিকে মিউজিক ব্যবহার করে ভিডিও মেক করে থাকে।
এখান থিকে মিউজিক ব্যবহার করলে আপনাকে মিউজিক এর ক্রেডিট দিতে হবে সেই বিষয়টি মাথায় রাইখেন।
3. wave.video
এই ওয়েবসাইট এর মতে এখানে প্রায় 300,000 royalty-free music clips পাবেন। এই ওয়েবসাইটটি মূলত ভিডিও মেক করার ওয়েবসাইট। তবে এখানে রয়েছে কপিরাইট ফ্রি লক্ষ লক্ষ মিউজিক। যেটা আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইট এর সবচেয়ে বড় কোয়ালিটি হল এখানে কপিরাইট মিউজিক ডাউনলোড করার পাশাপাশি এখানে থিকে লাইফ মিউজিক প্রিভিও করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
4. hooksounds.com
হুকসাউন্ড আপনাকে একসেস দিবে তাদের ওয়েবসাইটের মিউজিক গুলো ব্যবহার করতে । এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি আরটিস্ট,গানের নাম, আলবাম ইত্যাদি অনুসারে আপনার কাঙ্খিত কপিরাইট ফ্রি মিউজিকটি পছন্দ করতে পারেন।
এখানে রয়েছে অসংখ্য Royalty Free Music এর সমাহার। এখানে যত প্রকার ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করতে পারবেন , এত পরিমান কালেকশন কোথাও পাবেন না।
এই ওয়েবসাইট আপনাকে যেকোনো প্লাটফর্ম এর জন্য কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে।
5. Facebook Sound Collection
ফেসবুক এর জন্য যদি ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনি এখান থিকে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনি যদি ফেসবুক প্লাটফর্ম ছাড়া অন্য প্লাটফর্মে এই ভিডিও আপলোড দেন তাহলে কিন্তু সমূহ সম্ভাবনা আছে কপিরাইট স্ট্রাইক খাওয়ার।
6. purple-planet.com
এই ওয়েবসাইট এর নামের সাথে ডিজাইন এর মিল আছে। সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটটি পার্পল কালারের । এখান থেকে FREE 192kbps MP3 Download করতে পারবেন।
কমার্শিয়াল attribution দিয়ে অর্থাৎ এদের ক্রেডিট দিয়ে মিউজিক গুলো আপনার প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন।
যদিও এই ওয়েবসাইট থেকে প্রিমিয়াম লাইসেন্সও প্রোভাইড করা হয় যেমন STANDARD ($8) or BROADCAST ($40)।
7. artlist.io
এই ওয়েবসাইট ফ্রি না পেইড । মানে পেইড লাইসেন্স কিনে এই ওয়েবসাইট থেকে মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যদি লাইসেন্স এর জন্য ইনভেস্ট করতে চান তাহলে এটা খুব ভালো ওয়েবসাইট ।
এজন্যই এই টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হয়েছে, এই ওয়েবসাইট এর কোয়ালিটি অনেক ভালো কিন্তু পেইড ওয়েবসাইট।
8. bensound
এই ওয়েবসাইটটিও ফ্রি কপিররাইট মিউজিক এর জন্য খুব ভালো ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রকার কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ২০২১ পাবেন যেমন, cinematic, acoustic/folk, electronica, etc.
এরা Creative Commons license এর আন্ডারে মিউজিক প্রোভাইড করে থাকে । এর মানে হল আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে এই ফ্রি মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তাদের ক্রেডিট দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ট্রুকলার কিভাবে কাজ করে ?
9. joshwoodward.com
এটা একটা ব্যক্তির ওয়েবসাইট। প্রায় ২০০+ মিউজিক নিয়ে তার ওয়েবসাইট। এখান থিকে মিউজিক ডাউনলোড করে আপনার প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন তবে এই ওয়েবসাইট এবং গানের মালিক এর ক্রেডিট দিতে হবে আপনাকে।
10. free-stock-music.com
এখান থিকে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করে আপনার প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট এর প্রত্যেক ইউজারকে তাদের ক্রেডিট দিতে বলা হয়ে থাকে।
এই ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করে আপনি ফেসবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।
সবশেষ আমি বলবো স্পেসিফিক যদি ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করেন তাহলে ইউটিউব এর যে Audio Library আছে, সেই লাইব্রেরি থিকেই সাউন্ড নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
তেমনি স্পেসিফিক যদি ফেসবুক এর জন্য কন্টেন্ট বানান তাহলে ফেসবুক এর সাউন্ড কালেকশন ব্যবহার করবেন।
এসব কথা কেন বলছি, যখন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে মিউজিক ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন, তখন কপিরাইট ক্লেম খাওয়ার চান্স অনেক থাকে। কারণ একই মিউজিক প্রচুর মানুষ ব্যবহার করে। যেজন্য থার্ড পার্টি কম্পানি থেকে কপিরাইট ক্লেম না খেলেও কিছু অসাধু ইউটিউবার এর কাছে থেকে কপিরাইট স্ট্রাইক খেয়ে যেতে পারেন।
ছোট ইউটিউব চ্যানেল এর জন্য এই সব সমস্যা হয়, কারণ এই সব চ্যানেল একবার কপিরাইট স্ট্রাইক খেয়ে ফেললে রিকভারি করা খুব কঠিন হয়ে যায়।
ধন্যবাদ এত কষ্ট করে আর্টিকেলটা পড়ার জন্য।